কক্সবাজার, রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যুর জন্য নিজে দায়ী-সালা উদ্দিন

 

দিল্লীতে গিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ও দাফন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতিয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রভাবশালী এ রাজনীতিক বলেন, মুর্দা ফ্যাসিস্ট হাসিনা এখন কাফন পড়ে কথা বলছে দিল্লী থেকে।

সালাউদ্দিন বলেন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের এদেশের শাসন ক্ষমতার সমস্ত স্বপ্ন মৃত্যু বরণ করেছিলো। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো এবং মুসলিম লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানের খোদা হাফেজ হয়ে গিয়েছে।

এ ইতিহাস টেনে আনার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের ইতিহাস, নিজেরাই নিজেদেরকে দাফন করে ফেলার ইতিহাস। ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগের সাংবিধানিক কবর রচনা করে গেছিলেন। সেইসাথে বহুদলীয় গণতন্ত্রের কবর রচনা করে গেছিলেন স্বৈরশাসক একনায়ক শেখ মুজিব। আর তার কন্যা আওয়ামীলীগের দাফন করে গেছেন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট।

শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ স্বীকৃত জঘন্যতম গণহত্যাকারী হিসেবে উল্লেখ করে সালাউদ্দিন বলেন, হাসিনা মাঝেমধ্যে কাফন পরে বক্তব্য দিয়ে দেশে অস্থিরতা করতে চায়। হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। নিজেই দায়ী নিজের এই মৃত্যুর জন্য।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানকে কিংবদন্তী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির ইতিহাস বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস, সেই সাথে স্বৈরশাসক এরশাদকে হটিয়ে অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আপোষহীন নেত্রী হয়ে উঠা খালেদা জিয়ার ইতিহাস। ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে বিতাড়িত করার ইতিহাস।

প্রধান উপদেষ্টা মো. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে সালাউদ্দিন বলেন, যদি আপনার নিয়ত পরিস্কার থাকে তাহলে অতি শীগ্রই জাতির সামনে বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। তার আগে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসুন।

এসময় সালাউদ্দিন দেশের আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর দেয়ার আহবান জানান সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি।

কক্সবাজার জেলা বিএপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় নেতা হারুন-অর রশিদ, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদসহ অনেকে।

দীর্ঘ ১২ বছর পর কক্সবাজারে বড় কোন সমাবেশ করে নিজেদের শক্তি জানান দিলো বিএনপি। এই সমাবেশে জেলার ৯ উপজেলা থেকে মিছিল সহকারে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীরা যোগ দেন বলে জানান নেতারা। তৈরী হয় উৎসব মুখর পরিবেশ৷

পাঠকের মতামত: